দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি লাভের কিছু দোয়া!
মুমিনের ঈমান যতই শক্ত হোক না কেন, পারিবারিক ও সামাজিক নানা কারণে মাঝে-মধ্যে তাঁকেও দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে। আমার নিজের কথাও মন্দ নয়। মহান ছাহাবা কেরামও মাঝে-মধ্যে দুশ্চিন্তার মুখে পড়তেন। এ জন্য প্রিয় নবীজি ছঃ তাঁদেরকে কিছু দোয়া শিখিয়ে দিতেন এবং নিজেও সেগুলো পড়তেন। নীচে আমি এরকম দোয়া সম্বলিত কিছু বিশুদ্ধ হাদীছ উল্লেখ করছি। আশা করি আমার মুমিন ভাইয়েরা উপকৃত হবেন।
عن مصعب بن سعد قال: كان سعد بن أبي وقاص يأمر بهؤلاء الخمس ويحدثهن عن النبي -صلَّى الله عليه وسلم-: « اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ ، وَأَعُوذُ بِكَ أَنَ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ». أخرجه البخارى (5/2342 ، رقم 6009) ، وابن حبان (5/371 ، رقم 2024) ، وابن أبى شيبة (6/18 ، رقم 29130) وأحمد (1/183 ، رقم 1585) ، والبزار (3/343 ، رقم 1144) .
অর্থঃ হযরত মুসআব বিন সাদ বলেন, সাদ বিন আবু ওয়াক্কাছ -رضي الله عنه- আমাদেরকে এ পাঁচটি বাক্য শেখাতেন এবং তা রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم থেকেই বর্ণনা করতেন, “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে কৃপণতা থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমি আপনার কাছে কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমি আপনার কাছে জীবনের নিকৃষ্টতম বয়সে উপনীত হওয়া থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমি আপনার কাছে দুনিয়ার ফিতনা থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমি আপনার কাছে কবরের শাস্তি থেকে আশ্রয় গ্রহণ করছি।”
[ছহীহ বোখারী (৬০০৯), ছহীহ ইবনে হিব্বান (২০২৪), মুসনদে আহমদ (১৫৮৫), মুসনদে বাজ্জার (১১৪৪) ও মুছন্নফে ইবনে আবী শায়বা (২৯১৩০)]
عن أنس بن مالك رضى الله عنه ، قال: كان النبي -صلَّى الله عليه وسلم- يقول: « اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ ، وَالْجُبْنِ وَالْهَرَمِ وَالْبُخْلِ ، وَعَذَابِ الْقَبْرِ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ». أخرجه البخارى (3/1039 ، رقم 2668) ، ومسلم (4/2079 ، رقم 2706).
অর্থঃ হযরত আনাস বিন মালিক -رضي الله عنه- থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী صلى الله عليه وسلم বলতেন, “হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করছি অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, কাপুরুষতা ও জরাগ্রস্ত অবস্থা থেকে, কৃপণতা ও কবরের শাস্তি থেকে। আর আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি জীবন ও মৃত্যুকালীন ফিতনা থেকে।”
[ছহীহ বোখারী (২৬৬৮) ও ছহীহ মুসলিম (২৭০৬)]
عن أبي هريرة رضى الله عنه، قال: كان رسول الله -صلَّى الله عليه وسلم- يدعو: « اللَّهُمَّ إِنِّي اعُوذ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ ومِنْ عَذَابِ النَّارِ ، ومِنْ فِتْنَةِ الْمَحْيَا وَالْمَمَاتِ ، ومِنْ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ». أخرجه البخارى (1/463 ، رقم 1311) ، والنسائى (4/103 ، رقم 2060) .
অর্থঃ হযরত আবু হুরাইরা -رضي الله عنه- থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم দোয়াতে বলতেন, “হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করছি কবরের আযাব ও আগুণের শাস্তি থেকে, জীবন ও মৃত্যুকালীন ফিতনা থেকে এবং ঘুরে বেড়ানো দাজ্জালের ফিতনা থেকে।”
[ছহীহ বোখারী (১৩১১) ও সুনানে নাসায়ী (২০৬০)]
عن عائشة رضى الله عنها ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ -صلَّى الله عليه وسلم- كَانَ يَدْعُو بِهَؤُلاءِ الدَّعَوَاتِ: « اللَّهُمَّ فَإِنِّي اعُوذ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ ، وَعَذَابِ النَّارِ ، وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ ، وَعَذَابِ الْقَبْرِ ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى ، وَمِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ ، وَاعُوذً بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ ، اللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ . وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الابْيَضَ مِنَ الدَّنَس ، وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ ، اللَّهُمَّ فَإِنِّي اعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْهَرَمِ وَالْمَاْثَمِ وَالْمَغْرَمِ ». أخرجه البخارى (5/2341 ، رقم 6007) ومسلم (4/2078 ، رقم 589).
অর্থঃ হযরত আয়েশা -رضي الله عنها- থেকে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم এ বাক্যগুলো দ্বারা দোয়া করতেন, “হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করছি কবরের ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে, আগুণের ফিতনা ও আগুনের শাস্তি থেকে, স্বচ্ছলতা ফিতনার অনিষ্টতা ও দরিদ্রতার ফিতনার অনিষ্টতা থেকে এবং ঘুরে বেড়ানো দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্টতা থেকে। হে আল্লাহ আমার পাপসমূহকে বরফ ও শিশিরের পারি দ্বারা ধুয়ে ফেলুন, আমার হৃদয়টাকে পাপ থেকে পরিচ্ছন্ন রাখুন, যেমন আপনি সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে পরিচ্ছন্ন করে থাকেন, আর আমার ও আমার পাপসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিম দিগন্তের মাঝে। হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করছি অলসতা ও জরাগ্রস্ত অবস্থা থেকে এবং অপরাধ ও ঋণ থেকে।”
[ছহীহ বোখারী (৬০০৭) ও ছহীহ মুসলিম (৫৮৯)]
عن أبي سعيد الخدري رضي اللّه عنه ، قال : دخلَ رسولُ اللَّه صلى اللّه عليه وسلم ذاتَ يوم المسجد فإذا هو برجل من الأنصار يُقال له أبو أمامة ، فقال : « يا أبا أُمامَةَ ! ما لي أرَاكَ جالِساً في المَسْجِدِ فِي غَيْرِ وَقْتِ صَلاةٍ ؟ » قال : هموم لزمتني وديون يا رسول اللّه ! قال : « أفَلا أُعَلِّمُكَ كَلاماً إذَا قُلْتَهُ أذْهَبَ اللَّهُ هَمَّكَ وقضى عَنْكَ دَيْنَكَ ؟ » قلت : بلى يا رسول اللّه ! قال : « قُلْ إذَا أصْبَحْتَ وَإذَا أمْسَيْتَ : اللَّهُمَّ إِني أعُوذُ بِكَ مِنَ الهَمّ والحُزن ، وأعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ والكَسَلِ ، وأعُوذُ بِكَ مِنَ الجُبْنِ والبُخلِ ، وأعوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرّجالِ » قال : ففعلتُ ذلك ، فأذهبَ اللّه تعالى همّي وغمّي وقضى عني ديني . أخرجه أبو داود (2/93 ، رقم 1555) .
অর্থঃ হযরত আবু সাঈদ আল-খুদরী রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একসময় মসজিদে প্রবেশ করে আবু উমামা নামের এক আনসারী লোককে দেখতে পান। তখন তিনি বললেন, ওহে আবু উমামা! নামাযের সময় ছাড়া আপনি এখানে বসে আছেন কেন? তিনি বললেন, ইয়া রসূলুল্লাহ! বিভিন্ন দুশ্চিন্তা ও ঋণে আক্রান্ত আমি। রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি কি আপনাকে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দেব, যা বললে আল্লাহ আপনার দুশ্চিন্তা দূর করবেন ও ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করবেন? আমি বললাম, অবশ্যই হে আল্লাহর রসূল! তিনি বললেন, আপনি সকালে ও সন্ধ্যায় বলুন “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় গ্রহণ করছি দুশ্চিন্তা ও পেরেশানি থেকে, আশ্রয় গ্রহণ করছি অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আশ্রয় গ্রহণ করছি কাপুরুষতা ও কৃপণতা থেকে। আশ্রয় গ্রহণ করছি ঋণের ভার ও মানুষের প্রভাব/চাপ থেকে।” আবু উমামা রদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি তা করলাম। ফলে আল্লাহ আমার দুশ্চিন্তা দূর করে দেন এবং আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দেন। [সুনানু আবু দাউদ (১৫৫৫)]
عن عبد الله بن عمر رضي اللّه عنهما ، قال : لم يكن النبيُّ صلى اللّه عليه وسلم يَدَعُ هؤلاء الدعوات حين يُمسي وحين يُصبح : « اللَّهُمَّ إني أسألُكَ العافِيَةَ فِي الدُّنْيَا والآخِرَةِ ، اللَّهُمَّ إني أسألُكَ العَفْوَ وَالعَافِيَةَ في دِيني وَدُنْيَايَ وأهْلِي ومَالِي ، اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِي وآمِنْ رَوْعاتِي ، اللَّهُمَّ احْفَظْنِي مِنْ بَيْن يَدَيَّ ومِنْ خَلْفِي وَعَنْ يَمِينِي وَعَنْ شِمالِي وَمِنْ فَوْقِي ، وأعُوذُ بِعَظَمَتِكَ أنْ أُغْتالَ مِنْ تَحْتِي ». أخرجه أبو داود (رقم 5074) وابن ماجه (رقم 3871) .
অর্থঃ হযরত আবদুল্লাহ বিন উমার রদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় এ বাক্যগুলো বলতেন, “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুনিয়া ও আখেরাতে আফিয়ত (সুস্থতা ও শান্তি) ভিক্ষা চাই। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আমার দীন, দুনিয়া, পরিবার ও সম্পদে ক্ষমা ও আফিয়ত ভিক্ষা চাই। হে আল্লাহ! আপনি আমার দোষ ঢেকে রাখুন এবং আমার ভয়গুলো দূর করুন। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রক্ষা করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে ও আমার উপর দিক থেকে। আর আমি আপনার বড়ত্বের আশ্রয় গ্রহণ করছি আমার নীচ দিক থেকে গুপ্ত ভাবে মারা পড়া/ধসে যাওয়া থেকে।”
[সুনানে আবু দাউদ (৫০৭৪) ও সুনানে ইবনে মাজা (৩৮৭১)]
عن ثوبان رضى الله تعالى عنه ، أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يقول : « اللهم إنِّى أسألُكَ الطيِّباتِ وَتركَ الْمُنكَرَاتِ وحُبَّ الْمسَاكينِ ، وإذا أردتَ بِعِبَادِكَ فتْنَةً فاقبِضْني إليكَ غيرَ مَفتُونٍ ». أخرجه البزار كما فى مجمع الزوائد (10/181) . قال الهيثمى : إسناده حسن ، و الحاكم (1/708 ، رقم 1932) وقال : صحيح على شرط البخارى .
অর্থঃ হযরত ছাওবান -رضي الله عنه- থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم (তাঁর দোয়ায়) এ কথাগুলো বলতেন, “হে আল্লাহ ! আমি আপনার কাছে ভাল কাজ করতে পারা চাই, খারাপ কাজ থেকে বেঁচে থাকতে পারা চাই এবং মিসকীনদের প্রতি ভালোবাসা চাই। আর যখন আপনি আপনার বান্দাদের ফিতনায় ফেলতে চান, তখন ফিতানামুক্ত ভাবে আপনি আমাকে আপনার কাছে উঠিয়ে নিন।”
[মুসনদে বজ্জার সূত্রে হাইছামীর মাজমাউদ যাওয়ায়েদ (১০/১৮১) ও মুস্তাদরকে হাকেম (১৯৩২)। হাকেম ও হাইছামী উভয়ে হাদীছটিকে যথাক্রমে ছহীহ ও হাসান বলেছেন]
عَنْ أَبِى إِسْحَاقَ ، قَالَ : قَالَ لِى الْبَرَاءُ بن عَازِبٍ : أَلا أُعَلِّمُكَ دُعَاءً عَلَّمَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ؟ قَالَ : « إِذَا رَأَيْتَ النَّاسَ قَدْ تَنَافَسُوا الذَّهَبَ ، وَالْفِضَّةَ ، فَادْعُ بِهَذِهِ الدَّعَوَاتِ ، اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ الثَّبَاتَ فِى الأَمْرِ ، وَأَسْأَلُكَ عَزِيمَةَ الرُّشْدِ ، وَأَسْأَلُكَ شُكْرَ نِعْمَتِكَ ، وَالصَّبْرَ عَلَى بَلائِكَ ، وَحُسْنَ عِبَادَتِكَ ، وَالرِّضَا بِقَضَائِكَ ، وَأَسْأَلُكَ قَلْبًا سَلِيمًا ، وَلِسَانًا صَادِقًا ، وَأَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِ مَا تَعْلَمُ ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا تَعْلَمُ ، وأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا تَعْلَمُ ». أخرجه االطبرانى فى الكبير (2/25 ، رقم 1172) ، والأوسط (7/248 ، رقم 7408).
অর্থঃ তাবেয়ী আবু ইসহাক বলেন, আমাকে ছাহাবী হযরত বারা বিন আযেব -رضي الله عنه- বলেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দেবো না, যেটি আমাকে রসূলুল্লাহ صلى الله عليه وسلم শিখিয়ে দিয়েছেন? তিনি বলেছেন, “যখন তুমি দেখবে যে, মানুষ (মুসলিমেরা) সোনা ও রুপা (অর্থাৎ, টাকা-পয়সা) নিয়ে পরস্পরে প্রতিযেগিতায় লিপ্ত হয়েছে, তখন তুমি এ দোয়া করবে, ‘হে আল্লাহ আমি আপনার কাছে দীনের উপর অবিচলতা কামনা করছি, আমি আপনার কাছে হেদায়তের সংকল্প কামনা করছি, আমি আপনার কাছে আপনার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা, আপনার পরীক্ষায় ধৈর্য্য ও আপনার ফয়সালার উপর সন্তুষ্টি কামনা করছি। আর আপনার কাছে আমি সুস্থ হৃদয় ও সত্যবাদী জিহবা কামনা করছি। আর কামনা করছি আপনার জানা আমার জন্য কল্যাণকর বিষয়গুলো এবং আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি আপনার জানা আমার জন্য অকল্যাণকর বিষয় সমূহ থেকে। আর আপনি যা (আমার পাপের যে খবর) জানেন, তার জন্য আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।”
[মুজমে তবরানী কবীর (২/২৫) ও মুজমে তবরানী আউসাত (৭৪০৮)]
–
পড়ার নিয়মঃ দোয়াগুলো আরবীতে পড়তে পারলে ভালো। না হয় বাংলায় যে অনুবাদ দিয়েছি, সেগুলো বলবেন। যাদের প্রিন্ট করার সুযোগ নেই, তারা মোবাইল থেকে পড়বেন। আর দোয়াগুলোর সবই প্রতিদিন পড়তে পারলে ভালো। সব পড়তে না পারলে অধিক পছন্দের কয়েকটি পড়বেন।
মহান আল্লাহ মুমিনদের ক্ষমা করুন এবং তাদেরকে যাবতীয় ফিতনা ও পেরেশানি থেকে রক্ষা করুন।
আবুল হুসাইন আলেগাজী
সদর লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।
নোটিশ: আপনি কি ব্লগ কিংবা ফেসবুকে ইসলাম এবং সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতে আগ্রহী? তাহলে আপনার লেখা পাঠিয়ে দিন আমাদের কাছে।বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমাদের ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। ধন্যবাদ Fb.com/MaqamaeIbrahim
Copyright©2017: IslaameraloII Design By:F.A.CREATIVE FIRM